1. newsbanglapride24@gmail.com : banglapride24 : bangla pride
  2. jmitsolution24@gmail.com : support : Support Team
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সবাইকে একসাথে নিয়ে হিট মোকাবিলা করবো : চিফ হিট অফিসার শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১৫ ডেভেলপমেন্ট কাপ ফুটবলের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বর্ণযুগ উপভোগ করছেন চাঁদাবাজ ও ভূমিদূস্যদের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাজমহল রিয়েল এস্টেটের পরিচালক সেলিনার সংবাদ সম্মেলন ঢাকায় ঈদের আগেই ঈদের নামাজ পড়লেন অনেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঈদ উপহার নিয়ে অসহায়দের পাশে ডেইজি রাইট টক বাংলাদেশের আয়োজনে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাইট টক বাংলাদেশের আয়োজনে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত দেশজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ ঈদে ফাঁকা ঢাকা পাহাড়া দিবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার

‘‘আ.লীগের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ, এমপিও গেলেন সমুদ্রে’’

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
ছবি: বাংলাপ্রাইড২৪

মতামত ডেস্ক: উপমহাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ। ১৯৪৭ সাল থেকে ৭১ এর মাঝে যত আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছিলো তার নেপথ্যে যে দলটি ছিলো সেটিই হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যে সংগঠনের ছায়ায় থেকে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি অংশ নিয়েছেন ও নেতৃত্ব দিয়েছেন সেটার নামই আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার শহীদ হওয়ার পর সংগঠনটির কার্যক্রম কিছুটা থমকে গেলেও ৮০’র পরে আবারো গতিশীল হওয়ার স্বপ্ন বুনে। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বেঁচে ছিলেন বলেই আবারো ঐতিহ্যবাহি সংগঠন ঘুরে দাড়িঁয়েছে এবং দেশ সেবার নেতৃত্বে আসে। নানা ষড়যন্ত্র লড়াই সংগ্রাম আর যুদ্ধ মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংগঠনের সভানেত্রী হয়ে এখন ১৬ কোটির বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ক্ষমতায় একটানা তৃতীয়বারসহ ৪ বার। ভবিষ্যতেও সংগঠনটি আরো নেতৃত্ব দেওয়ার প্রত্যয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াসহ ভিশনও ২০৪১ সাল পর্যন্ত। কিন্তু কথা থেকেই যায়, সংসারে হাল ধরা আর ফুলে ফলে সাজানোকে বাচিঁয়ে রাখা মানেই একটি পরিবার শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। যে পরিবারের খুঁটির জোর বেশি তাদের ঘরভাঙা কিন্তু সহজ নয়।

আওয়ামী লীগ সংগঠনের দুঃময়কাল ছিলো ৮০’র পরে যখন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশ থেকে বাংলায় আসে। ইতিহাসে জানা গেল- স্বৈরাচারীর পতনের পর রাজপথ দখল নেওয়ার স্বপ্নই ছিলো আওয়ামী লীগের। কিছুটা সফলতা আসলেও আরেকটি রাজনৈতিক সংগঠনের গভীর নীলনকশায় ক্ষমতায় যেতে পারেনি। তবে আওয়ামী লীগের বরাবরই নানা ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছিলো। সেই ষড়যন্ত্র আজও থেমে নেই। ৯৬ তে ৫ বছর নেতৃত্ব দেন তারপর ক্ষমতার বদল হয়। ফের ষড়যন্ত্র আর নানা নির্যাতনের শিকার এই দলটি।

আবারো শুধু হয় নানা ধরনের আন্দোলন সংগ্রাম। শেষমেশ ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা দখলে নিলে আরো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে মুখে পড়তে হয় আওয়ামী লীগ ও তাঁর নেতাকর্মীদের। শুরু হয় কারাগার কারাগার খেলা। নির্যাতন আর অত্যাচার হয়ে গেল আওয়ামী লীগ কর্মীদের নিত্যদিনের জীবনসঙী তবুও সেই রাজপথ বেঈমানি করেনি। যারা প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনাকে ভালবেসেছিলেন তারা ঠিকই রাত জেগে পাহাড়া আর মুক্তির আশায় ছিলেন। এ যেন এক বিশাল ইতিহাস আর মহান করুনা।

রাজপথে থেকে শেখ হাসিনাকে মুক্তি করাই ছিলো দলের কর্মীদের একমাত্র লক্ষ্য। যত নির্যাতন হামলা-মামলা, অত্যাচার হোক না, কেন শেখ হাসিনার মুক্তি চায়। এর মাঝে বড় ইতিহাস রচিত করেছিলেন দলের কিছু সিনিয়র নেতারা। এটাকে কেউ বলে মাইনাজ ফরমুলা আবার কারো ভাষায় ১/১১ । দলের দুঃসময়ে এই শব্দটা ছিলো শেখ হাসিনা ও তাঁর আওয়ামী লীগের জন্য বড় পরাজয় গল্প। তবে সেটিও বেশিদিন এগুতে পারেনি কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু ভালবাসার পাগল ছিলো তারা আপোষ করেনি বলেই তাঁর মুক্তি মেলে এবং আওয়ামী লীগ সেই দল ভালোবাসার পাগলদের লগিবৈঠার মিছিলেই ক্ষমতা মিলে। আর নানা ষড়যন্ত্র নিমিষেই মাটির সঙে মিশে যায়। তত্ববধায়ক সরকার নির্বাচন দিতেও বাধ্য হন। সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন প্রাচীন সংগঠন আওয়ামী লীগ।

যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময় কিছুটা দেখেছিলো তারা আজ হয়তো মনে করেন। সেই নেতারা তেমন দলে নেই। কেউ নির্যাতনের শিকার হয়ে বিদায় নিয়ে নিরবে নিভৃতে আছেন আর কেউ মান অভিমান করে বসে আছেন। কারণ আওয়ামী লীগে এখন হাইব্রিড কাউয়াদের দখলে। যেমন খাবারে ভেজাল আর ভেজাল তেমনি আজ ঐতিহ্যবাহি দল আওয়ামী লীগ অনুপ্রেবেশকারীদের চাপে অতিষ্ঠ। সেই আন্দোলন সংগ্রামের ত্যাগী নির্যাতিত, কারাভোগকারী নেতাকর্মীদের পদচারণা দলে নেই বলতেই চলে।

দলের প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী গুটি কয়েক নেতাদের রোলার চাপে পৃষ্ট হয়ে দিন যাপন করছেন। এসব ত্যাগী নেতাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিলো। ছিলো না শুধু অর্থ সম্পদ। দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু লোভী নেতাদের চরিত্রের কাছে হেরে গেছে তাদের সততা আর দলকে ভালবাসার সেসব শব্দ। দলের জন্য একসময়ে বুক পেতে দেওয়া সেই কর্মীটির কথা অথবা মতামতের সিদ্ধান্তও নিলো দল ও হাইকমান্ড। শুধু জনপ্রতিনিধি ভূগোলের ইতিহাস বুঝিয়ে নিয়ে গেল দলের টিকিট আর পথের দিকে তাকিয়ে দেখলো দক্ষ কর্মীরা।

এসব লিখে লাভ নেই কারণ মানুষ এখন সততার কথা শুনে না। কথায় আছে ‘ চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী’ ঠিক দলের পরিনতি হয়েছে এমন। কোন নেতাই শোনে না পুরনো আর্তনাদের কথা। কারণ ক্ষমতা আর পদ পেয়ে এখন পিছনের কর্মী ও নেতাদের কথা ভূলে গেছেন।

 

দলের কিছু নেতাদের কাছে পুরনো কর্মীরা টিস্যু পেপারের মতো হয়ে গেছেন। আর হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারীরা হয়েছেন নতুন জামাই নতুন বউ। তবে এসব নতুন জামাই দিয়ে দলকে গতিশীল ও টিকিয়ে বড়ই কঠিন। পুরনো চালে ভাতে না বড় হলে, নতুন চালে ভাত বড় হয় না। সংসারের অভিভাবক বেঁচে থাকলে বাড়ির পাশে কেউ তাছিল্য করে কথা বলার সাহস পায় না। আর সেই সংসারের অভিভাবক যখন মৃত্যু হয় তারপরেই দেখা যায় পরিবারের অবস্থা এবং হালহকিকত। ঠিক রাজনৈতিক দলগুলোও এমন।

ঐতিহ্যবাহি সংগঠন আওয়ামী লীগের এখনো সময় আছে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত সেই সৎ নেতাদেরকে জায়গা দেওয়ার। সময় ফুরিয়ে গেলে শত সাধনেও কিন্তু কাজ হবে না। এখনি দলটির সময় তাদের মান অভিমান ভেঙে দলে স্থান দেওয়া ও পদ পদবিতে ভূষিত করা।  যেসব দলগুলো তাদের পিছনের ইতিহাস ভূলে গেছেন সেসব দল আজ বিলীনের পথে। তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। কারণ এসব দলগুলোর বড় ভূল ছিলো দুঃসময়ের কর্মীদের অবহেলা করা। দল থেকে তাদেরকে অপমানি করে বের করে দেওয়া। আর টাকার কাছে দলকে বিক্রি করে দিয়েছে এবং বিলাসিতায় জীবন যাপন করেছে নেতারা। এসব ভূলেই ধংস হয়ে গেল গোটা দল।

 

আজকে পত্রিকায় দেখলাম, সমূদ্রের ইজারা দিয়েছেন একজন ক্ষমতাসীন দলের এমপি। গতবার নির্বাচনের সময় লিখেছিলাম কম হলেও শতাধিক আসন আওয়ামী লীগ দলের পবির্তন করা উচিত ছিলো। সেই পরিবর্তনে এসব সমুদ্র লিজ দেওয়া জনপ্রতিনধিরা বাদ পড়তে। এই শতাধিক আসনে যদি দলের ত্যাগী, শিক্ষিত, জনপ্রিয়, দক্ষ সৎ, মেধাবী তরুণদের জায়গা দিতো তাহলে বিরোধীদল মুখে কথা বলারও সাহস পেতো না। কারণ মানুষ টাকা চায় না, চায় ভাল মানুষ ভাল জনপ্রতিনিধি।
সাধারণ মানুষের অনেক আশা থাকে জনপ্রতিনিধিদের ওপর। কিন্তু সেই আশা পুরণ করতে পারে দলের ভাল মানুষ ও সৎ জনপ্রতিনিধি। এতে দেখা যায় যে দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েছে সে দলেরও জনপ্রিয়তা বাড়ে এবং ভোটও বাড়বে। বর্তমানে অনেক এলাকায় জনপ্রতিনিধি রয়েছেন সম্ভব নির্বাচন করলে ৫ হাজার ভোটও নাও পেতে পারেন। কারণ জণগনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং অদক্ষ, অসৎ, চরিত্রহীন।

‘‘এতোবড় দল এতোবছর ক্ষমতায় তবুও ত্যাগীদের কেউ মনে রাখেনি, কেমন আছেন তাদের পরিবার ও সন্তানগুলো? তিনবেলা খাবার হচ্ছে তো সংসারে? কেউ কথা রাখেনি!’’

মানুষ এখন কোনমতেই বিতর্কিতদের কাছে যেতে চায় না।সাধারণ মানুষ চায় স্বচ্ছ এবং সৎ আদর্শবান মানুষের নেতৃত্ব। এখন দল থেকে জোর করে অথবা গোপনে কোন নেতার আত্বীয়কে টাকার বিনিময় দলীয় টিকিট দিলে তাকে জণগন ভোট দেওয়া তো দুরের কথা দুইচার পাশেও ভিড়বে না। মানুষ এখন বোকা নয়। সমাজের সব মানুৃষের পকেটে টাকা পয়সায় ভরপুর। কেউ ক্ষুধার্ত নেই সবার বাড়িতে কমবেশি খাবার আছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর একটাই চিন্তাশক্তি থাকা উৃচিত জণগন কি চায়? সেই প্রত্যাশা কতটা দলের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা পুরণ করতে পেরেছে? এসবের ওপরে যদি দলের মনিটরিং না থাকে ওই কখনোই এগুতে পারবে না। বিশেষ করে দলেরও ইতিহাস মনে রাখতে পু রনোদের স্বরণ করা বড় কর্তব্য। বাংলাদেশের মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা ইতিহাস ভূলে যায় এবং গতকাল কি দিয়ে দুপুরে ভাত খেয়েছে তাও মনে থাকে না। ভাল কাজ করলে ভাল প্রতিদান পাবে এবং মানুষ দিবে। গালমন্দ করতে হবে কেন? আমার সঠিক যোগ্যতা এবং মানুষের সেবা সুন্দর করে করতে পারলে নিশ্চয়ই আমার শত্রুপক্ষকে সাধারণ মানুষই কঠোর জবাব দিবে।

প্রকৃতপক্ষে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহি সংগঠন আওয়ামী লীগের সময় আছে যদি এখনো ত্যাগীদের বুকে টানেন। সেই সাথে আগামি নির্বাচনে এ দলে যদি দক্ষ মেধাবী এবং সৎদের জয়গান ঘটে তাহলে আগামি ২০৪১ সাল ভিশন বাস্তবায়তনের যাত্রা সুফল হবে। দল থেকে আগাছা পরগাছা এবং অনিয়মদের বের করলে নিশ্চয়ই এই ফলটা মিষ্টি হবে। একই সাথে যারা বিতর্কিত তাদেরকে মনোনয়ন তো দুরের কথা দলের সদস্য পদও যেন না পায়। একমাত্র সৎ চরিত্রবান ও জনপ্রিয়দের দলের মুকুট দিলে নিশ্চয়ই ভবিষ্যৎ ভাল হবে।

‘‘হাজার বছর বেঁচে থাকুক প্রাচীন ইতিহাস গড়া ও যুক্ত সংগঠন। ভাল মানুষ হলেই সংগঠনকে সকলেই ভালোবাসবে। সমাজে ভাল মানুষের যেমন অভাব, তেমনি ভাল নেতারও খুব প্রয়োজন।”

( লেখক: আল-আমিন  এম তাওহীদ,সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণমাধ্যমকর্মী অ্যাসোসিয়েশন)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022
Design & Developed By : JM IT SOLUTION