1. newsbanglapride24@gmail.com : banglapride24 : bangla pride
  2. jmitsolution24@gmail.com : support : Support Team
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বর্ণযুগ উপভোগ করছেন চাঁদাবাজ ও ভূমিদূস্যদের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাজমহল রিয়েল এস্টেটের পরিচালক সেলিনার সংবাদ সম্মেলন ঢাকায় ঈদের আগেই ঈদের নামাজ পড়লেন অনেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঈদ উপহার নিয়ে অসহায়দের পাশে ডেইজি রাইট টক বাংলাদেশের আয়োজনে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাইট টক বাংলাদেশের আয়োজনে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত দেশজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ ঈদে ফাঁকা ঢাকা পাহাড়া দিবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও ইয়ুথ এন্টারপ্রিনিউর কমিটির কো-চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি সালাউদ্দিন  শতাধিক পথচারী, রাস্তার পাশে ভাসমান ও রোজাদারের মাঝে রাইট টক বাংলাদেশের সেহরি উপহার

টেক ব্যাক বাংলাদেশ-পাকিস্তানই ভাল ছিল, শ্লোগানদাতাদের হাতে দেশ নয় : তথ্যমন্ত্রী

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

ন্যাশনাল ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ, পাকিস্তানই ভাল ছিল’ শ্লোগান দেয়, সেই বিএনপির হাতে কখনও দেশ নিরাপদ নয়। তারা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, পাকিস্তান বানাতে চায়।’

মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর জেলা গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে গ্রামগুলোতে শহরের সমস্ত সুযোগ সুবিধা পৌঁছে গেছে। আমরা শ্লোগান দেই ‘আমার গ্রাম আমার শহর, ডিজিটাল বাংলাদেশ’। আর বিএনপি শ্লোগান দেয় ‘আর নয় ডিজিটাল দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে পেছনে পাঠাও। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলে- এই শ্লোগান আমাদের তারেক ভাইজান দিছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেবও বলেন- পাকিস্তানই ভাল ছিল।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যে উন্নয়ন, অগ্রগতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, বিএনপি এখান থেকে বাংলাদেশকে কয়েক দশক পেছনে নিয়ে যেতে চায়। যে পাকিস্তান বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে, তারা দেশটাকে সেই পাকিস্তান বানাতে চায়। যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, পাকিস্তানই ভাল ছিল বলে, তাদের হাতে আমরা দেশ তুলে দিতে পারি না। যারা বাংলা ভাইয়ের জন্ম দিয়েছিল, যারা নাটোরে মমতাজ ভাইকে হত্যা করেছিল, আবার সেই জনপদে আমরা ফেরত যেতে পারি না।’

মির্জা ফখরুল সাহেব ক’দিন আগে তাদের মনের কথা বলেছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তারা না কি তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠন করবে। অর্থাৎ সব ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে চাঁদা আর টোল তোলার হাওয়া ভবনের তারেক রহমানকে না কি নেতৃত্বে আনবে। তার মানে আগে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফেটেছে, এবার পাঁচ হাজার জায়গায় বোমা ফুটবে, আবার বাংলা ভাই হবে, মানুষকে টাঙ্গিয়ে রেখে মারতে মারতে হত্যা করবে, আবার ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হবে। তারেক জিয়াকে আনলে এগুলো হবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘তারেক জিয়া মানুষের সামনে একটি আতংকের প্রতীক, গ্রেনেড হামলার প্রতীক, বোমা হামলার প্রতীক, বাংলা ভাইয়ের প্রতীক, তাকে দিয়ে তারা সরকার গঠন করতে চায়। এক বছর পর আবার নির্বাচন হবে। যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না আসে তাহলে দুলু সাহেব না কি বলে গেছেন- সবার পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। অর্থাৎ তারা যদি ক্ষমতায় আসে জনগণের পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। সুতরাং এ দেশের ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে দেয়া যায় না।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা টানা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি। পৃথিবীর কোনো সরকার শতকরা একশ’ ভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারেনি, পারবে না। আমাদেরও ভুলত্রুটি থাকতে পারে, সেগুলো সংশোধন করে ভবিষ্যতে আরো সুন্দরভাবে স্রষ্টার কৃপায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে।’

গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: শরিফুল ইসলাম রমজান প্রধান বক্তা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন সম্মানিত অতিথি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, মো: শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমানকে সভাপতি এবং আব্দুল মতিনকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে গণমানুষের দল, এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের দল হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কথা বলার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম ১৯৪৯ সালে। যখন রাজনীতি ছিল বড়লোকদের হাতে, রাজনীতি ছিল ড্রয়িং রুমে বন্দি, রাজনীতি করতো জমিদারেরা, সেই রাজনীতিকে গণমানুষের কাতারে আনার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। এদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’, ‘তুমি কে আমি কে- বাঙালি বাঙালি’ শ্লোগানের মাধ্যমে হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছিলেন। তার ডাকে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকারের অধিনে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা এনেছে।’

ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৪ শতাংশ। আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি, কিন্তু ৯ শতাংশের বেশি অর্জন করতে পারি নাই। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে ১০ হাজার টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুণর্গঠন করে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে বহুদূর এগিয়ে গেছে, পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

(এমআই)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022
Design & Developed By : JM IT SOLUTION