স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর প্রতিনিধি: প্রায় ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” রংপুর মহানগর শাখার কমিটি।
দীর্ঘসময় কমিটির ধারাবাহিকতা না থাকায় প্রচন্ডভাবে আশাহত নগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।জানাগেছে উক্ত কমিটির সভাপতি শফিউর রহমান স্বাধীন বর্তমানে সরকারী চাকুরীজীবি এবং সে ষ্টেশন মাস্টার পদে রাজবাড়ি জেলার পাকশীতে কর্মরত রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ এর গ উপধারা অনুযায়ী “সরকারি চাকুরীতে নিয়োজিত কেউ ছাত্রলীগের কর্মকর্তা হতে পারবে না।”
গঠনতন্ত্র মোতাবেক নগর ছাত্রলীগের সভাপতি স্বাধীন কোনভাবেই সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না,কিন্তু গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করেই সংগঠনের স্বাভাবিক গতিশীলতাকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত সভাপতি স্বাধীন।
এক বছর মেয়াদকালের কমিটি সাত বছর অতিবাহিত করা স্বাধীন,তার এই দীর্ঘসময়ে বিভিন্ন টেন্ডার বাণিজ্য,পাথরের ব্যাবসা,তদবির বাণিজ্য ইত্যাদির সহিত প্রকাশ্যে জড়িত ছিল।পদের বাড়তি সুবিধা নিয়ে সরকারি চাকুরি প্রাপ্তির পরও ক্ষান্ত হননি তিনি,অবৈধ ব্যবসার বলয় এবং প্রভাব ধরে রাখার তাগিদে স্বীয় পদ থেকে সড়ে দাড়াতে নারাজ সে।
সম্প্রতি রংপুর মহানগরে মেট্রোপলিটন ৬ টি থানা ঘোষিত হয়েছে।নগর ছাত্রলীগের অন্তর্গত এ ৬ টি থাকা কমিটি অতি দ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা আবশ্যক।উল্লেখ্য রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলো ইতিমধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে থানা কমিটিগুলো গঠন করেছে।
তথ্যসূত্রে আরও জানা যায় বেহাল দশায় কমিটিবিহীন রয়েছে নগর ছাত্রলীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগ শাখা। সাংগঠনিক কোনরুপ গতিশীলতা নেই রংপুর পলপটেকনিক ইউনিট ছাত্রলীগের। দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকার পরও এসব নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোন তৎপরতাই ছিল না বর্তমান রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ কমিটির।
মহানগর ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতি তারা যথেষ্ট আশাবাদী যে দ্রুত সময়ের মধ্যে উৎসবমুখর সম্মেলনের মাধ্যমে একটি দক্ষ, সাংগঠনিক ও স্মার্ট কমিটি উপহার দিবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।তারা আরও বলেন একজন সরকারি কর্মচারী ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পদে থাকার বিষয়টি সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং সংগঠনের শোভা বিনষ্ট করে।
সভাপতি স্বাধীনকে স্বীয় পদে বহাল রাখা বা তার সভাপতিত্বে সম্মেলনের স্বীদ্ধান্ত শুধুমাত্র ছাত্রলীগই নয় বরং আওয়ামী রাজনীতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে।
রংপরের একাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতৃবৃন্দ জানান-যেখানে সভাপতি স্বাধীন সরকারি চাকুরীতে কর্মরত তাই তাকে অব্যাহতি প্রদান করাটাই সমীচীন।সহ-সভাপতিদের মধ্য থেকে দায়িত্ব নেওয়ার মত যোগ্য অনেকেই রয়েছে,কমিটি গঠনের ধারাবাহিকতা না থাকায় যারা নেতৃত্বে আসতে পারেনি।
Leave a Reply