নিউজ ডেস্ক: “ভোটার উপস্থিতি কম ও ৪০ শতাংশ ভোট পড়ার কারণ”
সাধারণ মানুষ অর্থসম্পদ চায় না। চায় শুধু ভালোবাসা এবং খোলামেলা কথা বলতে। তাই দেশের সকল জনপ্রতিনিধিদের দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সুন্দর আচার-আচরণ, ব্যবহার এবং মানুষের সুখ দুঃখ শোনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু সমাধান করে দিলেই ভোট ৮০ ভাগ পড়বে বাক্সে। এখন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ও ৪৫ শতাংশ পাচ্ছে, এটা গিয়ে দাঁড়াবে ৮০ শতাংশে। প্রায় দেখা যায়
একটা কাগজ নিয়ে শতবার দৌড়াদৌড়ি করলেও সমাধান নেই।
জনগন জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের তো পাশে পাওয়া দুরের কথা, কাছেও ভিড়তে পারে না এতোটাই ভাব আর অহংকাট থাকে দেহে। এছাড়াও কিছু চা’ম’চা থাকে, মানুষ যেকোন সমস্যা নিয়ে গেলে তারা পাখির মতো উড়ায়। জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের কাছ থেকে এসব লোকদের সরানোর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং নেতাদের মানবিক হলেই ভোটারদের উপস্থিতি ও ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ভোট পড়বে। এখন জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ কথাও বলতে পারে না এবং দেখা করার সুযোগও পায় না। তাহলে ভোট কাকে দিবে অযথা সময় ন’ষ্ট করে ও কাজকর্ম ফেলে রেখে কে কার জন্যে করবে?
মানুষ তো এখন সময়ের মুল্য দিতে শিখেছে, প্রতিটা কদম হিসেব করেন। একদিন কাজ করলে ১ হাজার টাকার ওপরে মজুরি পাবে। আর একজন মানুষের জন্য ভোট দিয়ে কি পাবে? যার দেখা মিলে না বছরে একবারও তাকে কিসের জন্য ভোট দিবে বা সমর্থন করবে?
অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় জনগণকে সময় দেয় না, তারা ব্যবসা বাণিজ্য এবং পরিবার সন্তান নিয়ে ঢাকায় পড়ে থাকে। এমনকি রাজনৈতিক বড় নেতাদেরও একই অবস্থা। রাজনীতি তো জনগণের জন্য, মানুষের সেবা করবে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে এসবের এখন কোন সত্যতা পাওয়া যায় না।
ভোট আসলে ভোটের মাঠ ছাড়া মাসে ১ বারও দেখা পায় না। এরা মাসে ১ বার আসলেও ৩ দিন থেকে চলে যায় শহরে অথবা বিদেশে কিংবা ব্যবসায়িক কাজে। এমন লোক তো সাধারণ মানুষ চায় না। রাজনীতি এখন বেশিরভাগ টাকাওয়ালা ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এজন্যই এই সেক্টর থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
রাজনীতি করতে করতে আর জনগণের সঙ্গে মিশতে মিশতে জনপ্রতিনিধি হয়। আর এখন উড়ে এসে জুড়ে বসেই টাকা ছিটিয়ে জনপ্রতিনিধি হচ্ছে শুধু নামের জন্য। জনগণের দুঃখ, সুখ, দুর্দ’শা যেসব নেতা বুঝতে পারেনি তাকে কেন সমর্থন করবে। প্রশ্নই আসে না, টাকায় সবকিছু পাওয়া যায় না।
দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনা করে সমর্থন ও দলীয় টিকিট দেওয়া উচিত। যারা এলাকাভিত্তিক জনমুখী তাদেরকেই দল থেকে নমিনেশন দেওয়া উচিত।
গাঁয়ের কাদামাটি ও মানুষের সঙ্গে জীবন যৌবনসহ সারাজীবন যুদ্ধ সংগ্রাম ও সুখ দুঃখের চিরসাথী ছিল তাকেই সাধারণ মানুষ চায়। অথচ এসব বিষয়ে দলগুলোর কোন মাথা ব্যাথা নেই। তারা বসন্ত আর কোকিল পাখিদের হাতে নমিনেশন তুলে দিচ্ছে আর এটার প্রভাব পড়ছে ভোটের মাঠে। এতে দেখা যায় ভোটারদের উপস্থিতি ৪০ শতাংশের ওপরে আর হচ্ছে না। রোগ যেখানে মলম সেখানে দিন সব পরিবেশ ঠিক হয়ে যাবে। এখন রোগ মাথায় আর মলম নিয়ে হাঁটুতে ঘষাঘষি করলে রোগ কখনোই ভাল হবে না।
জনবিচ্ছিন্নদের হাতে দলের টিকিট না দিয়ে জনমুখী জনপ্রিয় এবং জনগণের প্রকৃত সেবক-প্রেমিক রাজনীতিবিদদের হাতে দিন শতভাগ জয়লাভ সুনিশ্চিত। ত্যাগীদের মুল্যয়ন করুন, জনগণ এদের চিরসাথী ছিল।
সাধারণ জনতা গাঁয়ের লোকদের বার বার চাচ্ছে, কিন্তু হচ্ছে সব তাঁর বিপরীতে। জনগণ যা চায় তা পায় না, এই বিপরীত কাঠামো থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্রুত বেড়িয়ে না আসলে ভবিষ্যতে রাজনীতি নামক শব্দ থাকবে না। (লেখক আল আমিন এম তাওহীদ, গণমাধ্যমকর্মী)।
(মেহেদী হাসান)
Leave a Reply