মীর আশিক রহমান,নিজস্ব প্রতিনিধি: টাংগাইলের বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের গিলাবাড়ী গ্রামের মৃত মীর মিনহাজ উদ্দিন মাস্টার এর জৈষ্ঠ পুত্র মৃত মীর আফাজ উদ্দিনের নামে খাজনা খারিজ করা ১৬ শতাংশ জমি।জমির দাগ নং ২২ হালদাগ ৪০৯ পূরাতন দাগ এর উপর জারিকৃত-১৪৪ধারা উপর জোর পূর্বক দখল করছে ওই গ্রামের মৃত বাবু মিয়ার ছেলে খন্দকার মকবুল হুদা (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে টাংগাইল আদালতে ২টি মামলা করেছেন ভূক্তভুগীরা।
উল্লেখ, গিলাবাড়ী গ্রামের মৃত মীর আফাজ উদ্দিনের ছেলে মীর মাঈন উদ্দিন বগত ৩১/১২/২০২০সালে উক্ত জমির উপর টাংগাইল জেলা আমলী আদালতে খন্দকার মকবুল গংদের বিরুদ্ধে -১৪৪ ধারা জারি করেন, এতে ক্ষিপ্ত হইয়া খন্দকার মকবুল গং বিগত ২৩/০১/২০২১ইং তারিখে -সকাল ৮ঘটিকায় অজ্ঞাত ও অচেনা প্রায় ২৫ থেকে-৩০ জন লোক নিয়ে আসে, মকবুল হুদা সহ সবাই দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজিত হইয়া জোর পূর্বক উক্ত জমি দখল করে।
বাধা দিতে চাইলে তারা মৃত মীর আফাজ উদ্দিনের পরিবারের সকলকে মারতে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। ও প্রকাশ্যে বলতে থাকে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা মোকাদ্দমা করলে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে।
এমতাবস্থায় নিরোপায় হইয়া মৃত মীর আফাজ উদ্দিনের পুত্র মীর আশিকুর রহমান কুতুব বাদী হয়ে ২৩/১/২০২১তারিখে সকাল ১০ঘটিকায় বাসাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তা তেও শেষ রক্ষা হয়নি।
মৃত মীর আফাজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে খন্দকার মকবুল হুদা তার আপন চাচাত ভাইয়ের বউ সুমি আক্তার কে বাদী করিয়া বাসাইল থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়,মামালাটি সম্পূর্ণ ভীক্তিহীন এবং উদ্দেশ্যে প্রনোদিত।
মৃত মীর আফাজ উদ্দিনের জমি খাজনা খারিজ করা জমিকে খন্দকার মকবুল হুদা ও তার সহযোগীরা বলে কাগজপত্র না কি ২নাম্বার।খন্দকার মকবুল হুদার সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নওজেশ মিয়া, রফিক মেম্বার ও শামীম সিকদার,উভয় সাং গিলাবাড়ী।
মৃত মীর আফাজ উদ্দিনের জমির কাগজপত্র সব কিছু থাকার পরেও খন্দকার মকবুল হুদা গংরা স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজন দ্বারা ভয়-ভীতি দেখায় এবং টাকার জোরে আইন প্রশাসনের দাপট দেখায়।
ভুক্তভোগী মৃত মীর আফাজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা এরকম মিথ্যা বানোয়াট ও সাজান ঘটনার কারণে খুবই ভয়-ভীতি ও কষ্টে দিন পার করছেন।এই জুলুম থেকে স্থায়ী রেহাই পেতে স্থানীয় সচেতন মহল ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
(মেহেদী হাসান)
Leave a Reply