অনলাইন ডেস্ক: প্রকৃতির অকৃপণ দানে ঋদ্ধ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার আলোকে পরিপুষ্ঠ এক, জ্ঞানের অনির্বাণ শিখায় প্রদীপ্ত আলোকময় এক মানব গোষ্ঠির বিকাশ ঘটেছে নোয়াখালী জেলার পুরো বেগমগঞ্জ জুড়ে।
মুক্তিযুদ্ধ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন,শিক্ষা, সংস্কৃতি,চলচ্চিত্র, সংবাদপত্র, রাজনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বেগমগঞ্জের ইতিহাস সমুজ্জ্বল। মাঝখানে বিএনপি জামাতের শাসন আমলের কিছু সময়ের জন্যে নানা কারণে কলঙ্কিত হলেও এখন আবার দেশের অন্যতম জ্ঞানী, গুণীর স্থান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে স্বগৌরবে মহিমান্বিত হয়েছে।
একসময়ের সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে সারাদেশে পরিচিত থাকলেও বর্তমান বেগমগঞ্জ সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধিতে দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলাকেও ছাড়িয়ে গেছে তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে বেগমগঞ্জের প্রানপুরুষ আধুনিক ডিজিটাল বেগমগঞ্জের রুপকার জনাব আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরন এমপি মহোদয়ের নিরলস পরিশ্রম ও রাজনৈতিক বিচক্ষনতায়।
২০০৯ শুরু থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ১৪ বছর আমাদের সরকার ক্ষমতায়, এ ১৪ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারকে দেশী বিদেশী বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার ছাড়াও অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং চড়াই উৎরাই পার করতে হয়। দেশের সামগ্রিক অবস্থার কথা বিবেচনা করলে আওয়ামীলীগ সরকার সফলতার শীর্ষ পর্যায়ে। দেশের রাজনৈতিক সংকটাবস্থায় সারাদেশ উত্তাল থাকলেও একমাত্র বেগমগঞ্জে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি সবকিছু নিয়ন্ত্রনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শুধুমাত্র একজনই। তিনি হলেন আমাদের প্রানের নেতা জনাব আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরন এমপি মহোদয়। শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করেছেন সুনিপুন হাতে।
সবচেয়ে বড় কথা হল বেগমগঞ্জের সর্বস্থরের মানুষকে একজায়গায় মিলিত করতে পারা নিজ দলের প্রত্যেক নেতা কর্মীকে ভালোবেসেছেন যেমনটি ভালোবাসতো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিজের জীবনকে ঢেলে দিয়েছেন সাধারন মানুষের তরে। বেগমগঞ্জের প্রত্যেকটি মানুষকে আপন করেছেন নিজ গুণে। গর্বে বুক ভরে যায় যখন আমাদের পাশ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার সাধারণ মানুষের মুখে শুনি প্রানের নেতা গুনগান। এক সময়ের অশান্ত ও সন্ত্রাসের জনপদ নামে চিহ্নিত বেগমগঞ্জ পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আপনি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরন এমপি মহোদয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন নৌকার বৈঠা, দায়িত্ব দিয়েছেন বেগমগঞ্জকে শান্তির জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার। সেই থেকে শুরু হল একজন স্বপ্নবাজ পুরুষের পথচলা। বিগত ১০ বছরে বেগমগঞ্জকে সাজিয়েছেন নিজ মহিমায় রুপকথার গল্পের মত।
ইতিমধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলার খ্যাতি ও উন্নয়নের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের মুখে বেগমগঞ্জের উন্নয়নের কথা বেরিয়ে আসে খুব সহজেই। বেগমগঞ্জ এমন একটি উপজেলা যার পরিচিতি সারা বাংলাদেশে বিদ্যমান কেননা সমগ্র বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে বেগমগঞ্জের সন্তানরা অনেক বেশি অবদান রেখেছে যা বলে শেষ করা যাবে না। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এখন সময় এসেছে কথা বলার, এখন ই সময় আমাদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর।
আমি আমার নিজ জায়গা থেকে সরে গিয়ে একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে বলছি আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরনেরাই পারে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে। যিনি রাজনীতিতে দিতে এসেছেন নিতে নয়। যার ৩২ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই সহজে বুঝে যাবে যে কেউ। স্ট্যাটাসটা লিখতে গিয়ে নিজেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি, মনে হচ্ছে মোবাইলের স্ক্রিনে আমার নেতার চেহারাটা ভেসে উঠছে তাই অনেক কিছু লিখতে গিয়ে লিখা হয়ে উঠেনি। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী হওয়ার পর বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল এবং মানুষের মুখে মুখে ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগমগঞ্জকে উপহার দিবেন একজন মন্ত্রী। যার হাত ধরে বেগমগঞ্জ মাথা উঁচু করে থাকবে ততদিন, যতদিন এই বাংলায় সূর্য উদিত হবে।
বিএনপির দূর্গ ভেঙে দিয়ে বেগমগঞ্জে আওয়ামীলীগের শক্ত অবস্থান তৈরি করে এবং বেগমগঞ্জের ঘরে ঘরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বাণী পৌছে দিয়েছেন যিনি, নিজ গুনে ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন সব জায়গায় তিনিও একজন মন্ত্রীর দাবিদার। রাজনীতি ও রাজনীতির বাইরে যিনি সাধারনের মাঝে অসাধারণ সেই মানুষটিকে যথাযত মুল্যায়ন করা হোক। যিনি নিজ মুখেই সবসময় বলেন আবার এমপি হলে পুরো চেহেরা পাল্টে দেব বেগমগঞ্জের। তিনিই বেগমগঞ্জের মাহাথির মোহাম্মদ তথা আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরন এমপি মহোদয়। প্রশ্ন রাখলাম ?
(লেখক : এইছ এম নাসের)
Leave a Reply