সারাদেশ ডেস্ক : অর্থনীতি ও কৃষিবান্ধব সমৃদ্ধশালী জেলা পিরোজপুর। নদীমাতৃক দেশে, নদী কিংবা বড় খাল পারাপারের জন্য আবহমান কাল ধরে ,ব্যবহার হয়ে আসছিল খেয়া কিংবা নৌকা।
কালের আবর্তমানে সেখানে ফেরি কিংবা ইঞ্জিন চালিত নৌ যান ব্যবহার হলেও বর্তমানে উন্নত বিশ্বের পথে হাঁটতেরা বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে বড় বড় সেতু, কিংবা ব্রিজ। এতে জনমানুষের ভোগান্তি দুর্ভোগ অনেকটাই দূর হয়েছে কিন্তু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখনো রয়েছে অবহেলিত অবস্থায় অনেক ফেরি কিংবা ইঞ্জিন চালিত নৌযানের ব্যবস্থা।
তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখ্য হল -পিরোজপুরে মহাসড়কে কঁচা নদীর উপর টগরা-চরখালি ফেরি। প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীটি পার হতে ২০ মিনিট থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগলেও বর্তমানে ঘন্টাও গুনতে হচ্ছে ও উভয় পারে থাকা অপেক্ষমান যাত্রীদের । প্রতিদিন এ মহাসড়কে খুলনা, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া ,ভান্ডারিয়া, বরগুনা ,আমুয়া ,কাঠালিয়া সহ দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি রুটের যান চলাচল করে। এছাড়া পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মাছবাহি ট্রাক এবং খুলনা যশোর থেকে আসা সবজি বাহি ট্রাক নিয়মিত চলাচল করছে।
পূর্বে এ নদীটির উপরে দুটি ফেরি চলাচল থাকলেও বর্তমানে একটি বন্ধ থাকার কারণে দুই পারে ছোট-বড় অনেক যানবাহন সহ পথযাত্রীদের দাঁড়িয়ে থেকে গুনতে হচ্ছে মূল্যবান সময়। অনেকেই আবার সময়ের ভিতর গন্তব্যে পৌঁছার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাথে থাকা বাইক কিংবা পরিবারসহ বর্ষায় থৈ থৈ করা নদী পাড়ি দিচ্ছেন ছোট ইঞ্জিন ট্রলারে। এতে একদিকে জীবনের ঝুঁকি অন্যদিকে বর্ষাকালে রোদ -বৃষ্টিতে ভিজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এমতাবস্থায় ট্রলারে পর্যাপ্ত পরিমাণ যাত্রীরা আহরণ করলেও ছাড়ার নেই কোন নির্দিষ্ট সময় কিংবা ভাড়ার টাকার পরিমাণ। দিনে জনপ্রতি বিশ টাকা নিলেও সূর্য ডোবার সাথেই তা হয়ে যায় কয়েক গুণ।এমতাবস্থায় দীর্ঘ কাল ধরে এ পথ চলা জনমানুষ, যানবাহন পারাপারে দুর্ভোগ দূরীকরণে উভয় পার থেকে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
(লেখক : এম রেজাউল ইসলাম রাকিব, শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কোরআন ও ইসলামিক স্টাডিজ)।
Leave a Reply